বাচ্চারা সমাজের ভবিষ্যৎ এবং প্রতিটি পরিবারের প্রাণ। তাদের নিষ্পাপ মুখ, সরল আচরণ ও কৌতূহলী মন আমাদের মনে আনন্দ ও আশা জাগায়। একজন শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশে যত্ন, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শিশুদের মনে যে কোনো বিষয়ের গভীর প্রভাব পড়ে। তাই ছোটবেলা থেকেই তাদের সৎ আচরণ, মানবিকতা ও নৈতিকতা শেখানো জরুরি। পাশাপাশি খেলাধুলা, সৃজনশীল কাজ ও গল্প-শেখার মাধ্যমে তাদের মনোজগৎ বিকশিত করা যায়। পরিবারের সদস্য ও শিক্ষকদের উচিত তাদের ভালো বন্ধু হয়ে পাশে থাকা।
বাচ্চারা অনেক সময় নানা প্রশ্ন করে, যা তাদের শেখার আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। এই কৌতূহলকে প্রশ্রয় দিয়ে, সহানুভূতির সঙ্গে তাদের উত্তর দেওয়া দরকার। শিশুদের মধ্যে যে সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে, তা ঠিকভাবে বিকশিত হলে তারা হতে পারে সমাজের শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
তাই আমাদের সকলের দায়িত্ব হলো শিশুদের নিরাপদ, ভালোবাসাপূর্ণ ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা। বাচ্চাদের হাসিমুখই একটি সুন্দর ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি।